Header Ads

বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন 01921211236

নবাবগঞ্জে প্রকাশ্যেই চলছে পাখি শিকার

ঢাকার নবাবগঞ্জে অতিথি পাখি শিকারের অন্যতম সহযোগী কৈলাইলের ওয়াদুদ। কৈলাইল এলাকার মিলনের ছেলে৷ উল্লেখ যে, কৈলাইলের ভাঙাভিটা এলাকায় চক ও বিভিন্ন পুকুরে মাছসহ বিভিন্ন খাবার খেতে আসেন অতিথি পাখি৷ এসব পাখি দেখতেও বেশ সুন্দর। দেশের প্রচলিত বন্যপ্রাণী আইন না মেনে তার সহযোগিতায় চলে এসব পাখি শিকার।এমনকি যারা এসব পাখি শিকার করে তারা কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে ট্রলার দিয়ে আসেন নদী পথ দিয়ে। তারা বন্দুক দিয়ে গুলি করে অতিথি পাখি, বগ পাখি আহত করেন৷ পরে এগুলো জবাই করেন৷ এসব পাখি বিক্রি এবং রান্না করে খান শিকারী সিন্ডিকেট।
দীর্ঘদিন ধরেই নবাবগঞ্জের কৈলাইলে ভাঙাভিটা এলাকায় চলছে অতিথি পাখি শিকার। এসব খবর পেয়ে শুক্রবার ঘটনাস্থলে চলে যান সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী। তবে শুক্রবার দুপুরে ভাঙাভিটা এলাকায় বহিরাগতদের সাথে ট্রলারে ইছামতী নদীতে দেখা যায় ওয়াদুদকে। এমনকি এসব বহিরাগতদের এই এলাকায় পাখি মারার জন্য নিয়ে আসা ও খবর দেওয়ার অন্যতম ওয়াদুদ৷ ঐসময় ওয়াদুদের হাতে ছিল ছাতা এবং পড়নে ছিল লুঙ্গি ও একটি শার্ট৷ এসব বিষয় দেখার পর ট্রলারে থেকে ওয়াদুদসহ অন্যান্য বহিরাগতদের ডাক দেওয়ার পর জিজ্ঞেস করা হয় বন্যপ্রাণী আইন না মেনে কেন পাখি হত্যা করেন তারা বলেন, আমরা অন্য জায়গা থেকে এসেছি৷ আর এখানে আসবো না চলে যাব এখন৷ তবে তাদের অন্যতম সহযোগী মূলহোতা ওয়াদুদ সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরন করে বলেন, ‘এখানে সাংবাদিকদের কি কাজ৷ বৈধ বন্দুক দিয়ে পাখি মারলে সমস্যা কি। নিউজ করলে কি বাল হবে। প্রশাসনই বা আমাকে কি করবে৷ যা পারেন করেন আপনারা৷ এসব কথাবর্তা বলেই সাংবাদিকদের বাঁশ দিয়ে মারধর করতে আসে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এসময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান৷
অন্যদিকে এসময় সাংবাদিকদের সাথে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ঢাকা জেলা দক্ষিণের সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান রশিদ৷ এবিষয়ে তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী আইনে পাখি মারা অপরাধ। পাখি মারার কারন জানতে চাইলে ওয়াদুদ আমাদের উপর চওড়া হয়ে উঠে৷ এবং মারধর করতে আসে৷ পরে, স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় প্রশাসনের নিকট দাবি জানাই ওয়াদুদকে আইনের আওতায় আনা হোক৷
উল্লেখ্য যে, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা- ২০১২ সালের ৩০ নং আইনে রয়েছে কোন এলাকা যেখানে বন্যপ্রাণী ধরা, মারা, গুলি ছোড়া বা ফাঁদ পাতা নিষিদ্ধ এবং মুখ্যত বন্যপ্রাণীর নিরাপদ বংশ বিস্তারের লক্ষ্যে সকল প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন-উদ্ভিদ, মাটি ও পানি সংরক্ষণের নিমিত্তে ব্যবস্থাপনা করা হয় এবং যাহা এই আইনের ধারা ১৩ অনুসারে সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষিত।
এবিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ.এম সালাউদ্দীন মনজু বলেন, বন্যপ্রাণী আইনে গুলি করে পাখি মারা অপরাধ। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.